মারণ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল ৮০০। চীনে করোনাভাইরাসের জেরে কার্যত মৃত্যু মিছিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১৩। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ২০০২–০৩ সালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমে (সার্স) আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। তখন সার্স–এর হানায় বিশ্ব জুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জনের। সেখানে তিন মাসেরও কম ব্যবধানে শুধুমাত্র চীনেই করোনাভাইরাসের হানায় মৃত্যুর সংখ্যাটা ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা হয়েছিল ৭২২। রাত পোহাতেই তা ৮০০ ছাড়িয়ে গেল। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও ৩,৩৯৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪,৫৪৬ জন। চীনের বাইরেও আক্রান্তের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। প্রায় ৩০০। তার মধ্যে এই প্রথম চীনে দুই বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে করোনার হানায়। একজন মার্কিন নাগরিক। অন্যজন জাপানের। ফিলিপিন্সে মৃত্যু হয়েছে এক চীনের নাগরিকের।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা পথচারীদের থামিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, বেজিংয়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মোবাইল ফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল এবং বিশ্বের বৃহত্তম কফি চেন স্টারবাকস, দু’জনেই বেজিংয়–সহ গোটা চীনে তাদের প্রায় সব দোকানই বন্ধ রেখেছে। হু সতর্কবার্তা দিয়েছে, আশঙ্কার মাত্রাটা কোনওভাবেই কমেনি। মৃত্যু বা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
