তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে হেরে টালমাটাল রাজ্যের গেরুয়া শিবির। এখন প্রশ্নের মুখে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুঁদে রাজনীতিক মুকুল রায়ও পর্যালোচনার কথা বলে অস্বস্তি ঢেকেছেন। এদিকে মুরলীধর সেন লেনের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন নেতাজি পরিবারের সদস্য তথা রাজ্য বিজেপি’র সহ সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু। তিনি শুক্রবার একটি টুইট করেন। সেখানে তাঁর দাবি, অন্যান্য রাজ্যে যা প্রচার করে লাভ হবে বাংলায় তা করলে সফল হওয়া যাবে না। এমনকী এই নিয়ে তিনি লিখিত রিপোর্ট দিয়েছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির বাংলার প্রতি আগ্রহ দেখানো উচিত। শুধু ভোট ব্যাংকের কথা ভেবে নয়। বাংলার মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তাই ভোট ব্যাংকের রাজনীতি তাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। রাজ্য বিজেপি’র উচিত, গঠনতন্ত্রে শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে বাংলার জন্য রাজনৈতিক কৌশলে জোর দেওয়া।’ অর্থাৎ নাম না করে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যের এই তিন উপনির্বাচনে তিনটিতেই পরাজয়ের কারণ কী এনআরসি ইস্যু? চন্দ্রকুমার বসু দাবি করেন,‘এরাজ্যে এনআরসি ইস্যু নিয়ে আলোচনা বা প্রচার না করলেই ভাল হতো। কারণ এই ইস্যুটা ১৯৮৫ সাল থেকে অসমের সমস্যা। এই রাজ্যের নয়। এই রাজ্য স্বামী বিবেকানন্দের, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু’র। তাই এখানের আবেগ, সংস্কৃতি অন্য রাজ্যের থেকে আলাদা। সেটা বুঝতে হবে। আমি সেই কথা সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানিয়েছি। এখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
