ব্রেকিং নিউজ

গ্রেপ্তার আরও এক বিজেপি নেতা

মঙ্গলবার আরও এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের নাম সুজিত বড়ুয়া। সোদপুরের ঘোলা থেকে সুজিত বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা। আগেই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই নিয়ে এই ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা দাঁড়াল চার। পুলিশ সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় আরও ২৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ফুটেজও মিলিয়ে দেখা হয় বলে খবর।এরপর নিশ্চিত হয়েই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতে তোলা হলে এদের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘোলা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুজিত বড়ুয়াকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফেসবুকের ভিডিও দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে তাকে।
যে এলাকায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান উঠেছিল, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে পুলিশ। নিউ মার্কেট থানার পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ধ্রুব বসু, পঙ্কজ প্রসাদ এবং সুরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা (সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে উস্কানি), ৫০৫ ধারা (কোনও সম্প্রদায়কে হুমকি), ৫০৬ ধারা (হুমকি) এবং ৩৪ ধারায় (এক উদ্দেশ্যে কোনও কাজ করা) মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, সুরেন্দ্রকে রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ি থেকে, ধ্রুবকে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে এবং পঙ্কজকে ভোরের দিকে কালীঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দীপাঞ্জন সেনের আদালতে ধ্রুব জামিন পেলেও দু’জনকে পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোলি মারো স্লোগান নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি ইন্ডোরে দলের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটা দিল্লি নয়, এটা বাংলা। তাঁর কথায়, ওই অমানবিক ও দানবিক ভাষা যাঁরা প্রয়োগ করেছেন, তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছে, বাকিদেরও চিহ্নিত করবে।