মধ্যপ্রদেশ এখন মাথাব্যথ্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কমলনাথ–সহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। ইস্তফা দিলেন কমলনাথ সরকারের ২০ জন মন্ত্রী। সকলের ইস্তফাপত্রই গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন কমলনাথ। তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন, মাফিয়াদের সাহায্যে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। ওদের সফল হতে দেব না।
এদিকে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৭ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁরা বিজেপি’র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে সূত্রের খবর। তবে কংগ্রেসের আর এক দাপুটে নেতা দিগ্বিজয় সিং জানান, সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না কারণ তাঁর সোয়াইন ফ্লু হয়েছে। সোমবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দীর্ঘ বৈঠকের পর সদলবলে গণইস্তফা দেয় কমলনাথের মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার ফের নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে জানান কমলনাথ।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। সোনিয়ার নির্দেশে দিল্লি থেকে বিকেলে ভোপালে ফেরেন কমলনাথ। এরপর দলীয় বৈঠকে বিজেপিকে আটকাতে গণপদত্যাগের কৌশল নেয় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের কাছে ইস্তফাপত্র দেন ২০ জন মন্ত্রী। কংগ্রেস নেতা পিসি শর্মা বলেন, ‘মন্ত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছিল। নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। সরকার ৫ বছরই চলবে।’ বিদ্রোহী বিধায়করা বেঙ্গালুরুর একটি রিসর্টে রয়েছেন বলে খবর। দলীয় সূত্রে খবর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছে না কংগ্রেস। মনে করে হচ্ছে তিনি বিজেপি’র সঙ্গে কোনও সমঝোতা করছেন। রাজ্যসভার আসনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিন্ধিয়ার অন্তর্ভুক্তির কথা চলছে বলে খবর।
মধ্যপ্রদেশ নিয়ে দফায় দফায় শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। ভোপালে ডাকা হয়েছে দলের সব বিধায়কদের। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ১১৬ জন বিধায়কের সমর্থন। সপা–বসপার বিধায়ক মিলিয়ে ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন শাসক কংগ্রেসের পক্ষে। বিজেপি’র আসন সংখ্যা ১০৭। সূত্রের খবর, রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের পরিকল্পনা দিন কয়েক আগেই করেছিলেন কমলনাথ। দিল্লিতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে এই নিয়ে তিনি কথাও বলে আসেন। বিষয়টি চাউর হতেই সিন্ধিয়া শিবিরের কংগ্রেস নেতারা খেপে ওঠেন। কমলনাথের নতুন মন্ত্রিসভায় আদৌ জায়গা হবে কি না, আশঙ্কায় তাঁরা কমলনাথের হাত ছেড়ে জ্যোতিরাদিত্যের হাত শক্ত করছেন।