পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তৎপরতায় কলকাতার ময়দান এলাকা থেকে ধরা পড়ল মণিপুরের দুই মাদক কারবারি। ধৃতদের নাম আব্বাস খান এবং মহম্মদ জিয়াউর। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার মাদক ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়ল আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, আগে শাকিল নামে এক মাদক কারবারি তাদের জালে ধরা পড়েছিল। তাকে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ। জেরায় সে জানায় বেশ বড় অঙ্কের মাদক পাচার হওয়ার কথা কলকাতার মধ্য দিয়ে। সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশ। ডাফরিন রোডে একটি নম্বরপ্লেটহীন হোন্ডা অ্যাকর্ড গাড়ি আটক করেন তদন্তকারীরা। গাড়িটি তল্লাশি করতেই প্লাস্টিকের প্যাকেট ও কাগজে মোড়া প্রায় ৫০ হাজার মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার হয় গাড়িটি থেকে। তখনই গাড়িতে থাকা দুই মণিপুরি মাদক কারবারি আব্বাস খান এবং মহম্মদ জিয়াউরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ তারিখ রবিবার রাতে চিংড়িঘাটার কাছে ক্যানাল সাউথ রোডে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। গ্রেপ্তার করে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা বাকি বিল্লা গাজি ওরফে বিল্লু, স্বরূপনগরের বাসিন্দা আখতারুল গাজি এবং মণিপুরের থৌবলের বাসিন্দা মহম্মদ আলি আহমেদকে। তাদেরকে জেরা করেই এদিন দুই মণিপুরী বাসিন্দাকে শহর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী আইন ২২(সি) এবং ২৬ এনডিপিএস আইন ১৯৮৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই বিপুল পরিমাণ মাদক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কোথায় এই মাদক পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।
যে দামি গাড়িতে করে মাদক পাচার করা হচ্ছিল, সেটি কোথাকার তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, চুরি করা গাড়িতে করে মাদক পাচার করা হচ্ছিল।