বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া, মৃত্যু, আর আতঙ্কের মধ্যেই বড় বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে ভাইরাসটি বের করে তার ওপর চালানো হচ্ছে গবেষণা। এ প্রক্রিয়ায় চীনা গবেষকরা প্রথম মানবদেহ থেকে ভাইরাসটি বের করেন। যুক্তরাজ্য ও কানাডার সানিব্রুক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর বিজ্ঞানীরাও মানবদেহ থেকে ভাইরাসটি আলাদা করে গবেষণা করছেন। গবেষক দলের মধ্যে রয়েছেন একজন বাঙালি বিজ্ঞানী। তার নাম সামিরা মুবারেকা।
গবেষণা নিয়ে সাক্ষাৎকারে সামিরা বলেন, এ মহামারি রুখতে হলে মোক্ষম ওষুধ চাই। এবং অবিলম্বে চাই। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের কথাও মাথায় রাখতে হবে।
ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করছেন অরিঞ্জয়। তিনি বলেন, সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসটি আমরা আলাদা করেছি। তা থেকে যা তথ্য পাচ্ছি, তা জানানো হবে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের। একযোগে চেষ্টা করলে প্রতিষেধক পেয়ে যাব। ‘টিমওয়ার্ক’ চলবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যতবারই ভাইরাসটি মানবদেহ থেকে আলাদা করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ভাইরাসটি বদলে ফেলছে নিজের চেহারা। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাইরাসটি কারও দেহে ঢুকলে, তার শ্বাসযন্ত্রে নিজের প্রতিলিপি গঠন করছে ও নিজেকে বদলে ফেলছে (মিউটেশন)। আরো কোটি কোটি করোনাভাইরাসের জন্ম হচ্ছে। এরপর সেসব ভাইরাস আক্রমণ করছে ফুসফুসে।
ইতোমধ্যেই ভাইরাসটি নিজের জিন বদলে ফেলেছে অন্তত ৩৮৪ বার। অর্থাৎ ভিন্ন পরিবেশ ও তাপমাত্রায় টিকে থাকার স্বার্থে নিজের জিনগত গঠন বদলে ফেলেছে বা জিনগত মিউটেশন ঘটিয়েছে।