দেশ

কর্নাটক জয় বিজেপি’‌র, হার স্বীকার কংগ্রেসের

কর্নাটক বিধানসভার উপনির্বাচনে ঝড় তুলল বিজেপি। ইতিমধ্যেই ৬টি আসন জিতে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। ১৫টির মধ্যে ১২টিতেই জিততে চলেছে বিজেপি। ২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস এবং ১টি আসনে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী। এই জয়ের ফলে কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হল বিজেপি। দুরন্ত ফলের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ২০১৮ সালে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে এই ১৫ আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল কংগ্রেস, ৩টিতে বিজেপি এবং ১টিতে কেপিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাঁরা জনাদেশের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন, মানুষ তাঁদের শাস্তি দিয়েছে। গত জুলাই মাসে কংগ্রেস– জেডিএস জোট সরকারের ১৭ জন বিধায়ক একসঙ্গে ইস্তফা দিলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। ফলে পতন ঘটে এইচডি কুমারস্বামী সরকারের। ক্ষমতায় আসে বিজেপি’‌র ইয়েদুরাপ্পা সরকার। ওই ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫টি উপনির্বাচন হয় গত ৫ ডিসেম্বর। বাকি ২টি আসনে ভোট হয়নি। কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বলেন, ‘‌এই ১৫ আসনে ভোটদাতাদের রায় মাথা পেতে নিতে হবে। ওদের মেনে নিয়েছে মানুষ। এই পরাজয় স্বীকার করে নিতে হবে আমাদের। তবে এতে আমাদের হতাশার কিছু রয়েছে বলে মনে করি না।’‌
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে প্রচারে গিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক বলত দক্ষিণে বিজেপি’‌র প্রভাব সীমিত। তবে উপনির্বাচনে কর্নাটকের মানুষ তাদেরকে গণতান্ত্রিক উপায়ে হারিয়ে শাস্তি দিয়েছে। কর্নাটকে পেছনের দরজা দিয়ে জনাদেশ চুরি করেছিল কংগ্রেস। মানুষ এখন সেই দলকে শিক্ষা দিয়েছে। কর্নাটক বিধানসভায় ২২৪টি আসনে এই মুহূর্তে বিজেপি’‌র ১০৫ বিধায়ক এবং ১ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং জেডিএসের রয়েছে যথাক্রমে ৬৬ ও ৩৪ জন বিধায়ক। সরকার টিকিয়ে রাখতে বিজেপি’‌র দরকার ছিল অন্তত ৬টি আসনের। ৬টি আসন জিতে নেওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন ইয়েদুরাপ্পা।