চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৫। আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংক্রামিত ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ। শুক্রবার এই কথা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দিল্লির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন কেরলের এক নার্স। সৌদিতে কর্মরত ওই নার্সও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই রোগের শিকার হয়েছেন তিনি।
উহান থেকে ৩০০ কিমি দূরে ইচাঙের একটি হাসপাতালে ইন্টার্ন হিসেবে কর্মরত ১৪ জন কুনমিং বিমানবন্দর দিয়ে কলকাতায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ জানান, প্রায় ১০০ জন ভারতীয় নার্সকে পরীক্ষা করা হয়েছিল। একজন ছাড়া আর কারও শরীরে ওই ভাইরাস পাওয়া যায়নি। বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চীনের পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে আমরা খুব কাছ থেকে নজর রাখছি। এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু–এর পরামর্শও মেনে চলছি। উহানের বাসিন্দাদের খাদ্য সরবরাহ–সহ সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আক্রান্ত নার্সের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি। এই ভাইরাস আটকাতে কলকাতা, দিল্লি–সহ দেশের মোট সাতটি বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হবে। দূতাবাস দুটি হেল্পলাইন খুলেছে। +৮৬১৮৬১২০৮৩৬২৯ এবং +৮৬১৮৬১২০৮৩৬১৭। উহান ও তিনের অন্যান্য জায়গা থেকে মুম্বই ফেরার পর দু’জনকে শহরের একমাত্র আইসোলেশন ফেসিলিটি থাকা কস্তুরবা হাসপাতালে নজরদারির জন্য রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সিঙ্গাপুর–ভিয়েতনামে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সামনে আসে। যা খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভয়াবহ। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, শনিবার চীনের নববর্ষ শুরু হলেও, তার উদ্যাপনে কড়া বাধানিষেধ রেখেছে প্রশাসন। বেজিং বিমানবন্দরে আসা পর্যটকদেরও দেখা গিয়েছে, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মুখে মুখোশ পরে নামতে।