ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাস। চীনে একদিনে মৃতের সংখ্যা নয়া রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বুধবার মারণ ভাইরাসে ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩১০। নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ১৪,৮৪০ জনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮,২০৬। হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, আক্রান্তদের চিকিত্সায় বৃহস্পতিবার থেকে নয়া প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।
রোগের আঁতুড়ঘর হুবেই থেকে শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, সরকারের কড়া পদক্ষেপে ইতিবাচক সুফল মিলছে। তবে বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, এই মাসের শেষের দিকে চরম আকার নেবে এই রোগ। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার সার্সে অনেক বেশি ছিল। করোনাভাইরাসে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তুলনায় মৃত্যুর হার যথেষ্টই কম। কিন্তু এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত। এটাই চিন্তার।
প্রাথমিকভাবে হুবেইয়ের বেআইনি পশু বিক্রির বাজার থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের সূত্রপাত বলে ধারণা। তা রুখতে হুবেই কার্যত লকডাউনে। বন্ধ রাখা হয়েছে জমায়েত। জাপানের ইকোহামায় ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ জাহাজে যে ৩,৭০০ জন আটকে রয়েছেন, তাঁদের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে বলে খবর। এভাবে বন্ধ রাখার পরেও ভাইরাসটি আদৌ কমবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। যদিও অনেকের ধারণা, গরম বাড়লে এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত কমে যাবে।
