গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা একশো পেরিয়ে গিয়েছে। এখন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪। এটা পরে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই কয়েকজন সুস্থও হয়ে উঠেছেন বলে খবর। তার মধ্যে ১৭ জন বিদেশি পর্যটক। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান, ভারতে নতুন মোট ১৯টি করোনা আক্রান্তের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৫টি ঘটনা মহারাষ্ট্রে ধরা পড়েছে। আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্র কেরলকে টেক্কা দিয়েছে। বাকি চারজনের মধ্যে কেরলে দু’জনের, রাজস্থান এবং কর্নাটকে একজন করে রোগীর সন্ধান মিলেছে।
সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ছায়া ফেলেছে রাজ্যের পুরভোটেও। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন সব রাজনৈতিক দল। এমন অবস্থায় পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ১২ জন এবং দিল্লি ও কর্নাটকে ৭ জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজনও আক্রান্তের সন্ধান না পাওয়া গেলেও করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে গুজরাট সরকার। টিউশন ক্লাস এবং অঙ্গনওয়াড়ি–সহ রাজ্যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। একই পদক্ষেপ নিয়েছে তেলঙ্গানা, তামিলনাডু, দিল্লি, ওডিশা, কর্নাটক এবং জম্মু–কাশ্মীর।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১১৪। প্রাথমিক ভাবে কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকলেও, এ বার তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে নতুন করে চার জনের আক্রান্ত হওয়ার হদিশ মিলেছে। ফলে এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭। উল্লেখ্য, ভারতে মোট যে ক’জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেকে হয় এই রোগে বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলিতে গিয়েছিলেন অথবা আত্মীয়দের মাধ্যমে এই রোগ তাঁদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। ভারতে সামাজিক মেলামেশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর।
