সংঘাতের মধ্যেই পথ চলা শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার। আর শুক্রবার থেকে সাধারণের জন্য চালু হয়ে গেল ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো। প্রথম দিনই ভিড় বেশ ভালই হয়েছে। অফিস বা অন্য কাজ ছাড়াও শুধুই নয়া মেট্রোর আনন্দ নিতে হাজির হয়েছেন অনেকে। আর ভালোবাসার দিনে তাঁদের স্বাগত জানাতে টিকিটের সঙ্গে লাল গোলাপ উপহার দিচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে।
সকালেই লাইন দিয়ে টিকিট কাটতে দেখা গেল যাত্রীদের। সেখানে চমক হিসাবে টিকিটের সঙ্গে হাসিমুখে একটি করে লাল গোলাপ হাতে দিলেন মেট্রোর আধিকারিকরা। এভাবেই প্রথম ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো সফরের স্বাদ নিলেন অনেকে। নয়া ব্যবস্থা দেখে খুশি যাত্রীরাও। ৩৬ বছর পর কলকাতায় নতুন পথে ছুটতে শুরু করে মেট্রো। উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, সারা ভারতের বিকাশ তখনই হবে, যখন পূর্ব ভারতের বিকাশ হবে। কলকাতা নতুন করে সারা ভারতকে পথ দেখাবে।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে যুবভারতী স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলবে মেট্রো। উঠলেই ৫টাকা দিয়ে চড়া যাবে মেট্রো। ২০ মিনিট অন্তরই মিলবে পরিষেবা। চলতি কলকাতা মেট্রোর থেকে আরও বেশি অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নয়া মেট্রোতে। সেগুলি হল— গড় গতি–৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা, রেকের প্রকৃতি–শুধু এসি, শব্দ প্রতিরোধের ব্যবস্থা রয়েছে এলিভেটেড অংশে, প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা–আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা ঠেকাতে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর, বয়স্ক ও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের জন্য প্রতি স্টেশনে হুইলচেয়ার তোলার ব্যবস্থা, লিফট ও চলমান সিঁড়ি, যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের জন্য প্রতি স্টেশনে যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট শৌচাগার। এছাড়া ২০ মিনিট অন্তর চলবে এই মেট্রো। প্রতি স্টেশনে ট্রেন থামবে ২০ সেকেন্ড। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেট্রো চলবে। ৪.৮ কিমি যাত্রাপথে ৬টি স্টেশন রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আপাতত ৫টি মেট্রো চলছে।
