পঞ্চম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল ২০১৯ নিয়ে দেশ–বিদেশের বিজ্ঞানীরাই নন, যোগ দিয়েছেন গবেষক, পড়ুয়ারাও। উৎসব চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, বিজ্ঞানচর্চা কমিয়েছে অন্ধ বিশ্বাস। আড়াই হাজারের উপর ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে রেকর্ড তৈরি করল ওই সেমিনার। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সম্মান পেল ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ( আইইউসিএএ)।
দেশের প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানের হাত ধরতে চাইছেন তা তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। অথচ বিজেপি’র কোনও কোনও নেতা বলছেন গোমূত্রে ক্যান্সার সারে, আবার কেউ বলছেন গরুর দুধে পাওয়া যায় মূল্যবান সোনা! যা অবাক করেছে দেশের এই বিজ্ঞানচর্চায় যোগ–দিতে–আসা বিজ্ঞানীদের। তঁাদের মতে, এই ধরনের মন্তব্যে ধীর হয়ে পড়ে বিজ্ঞানের চাকা। পিছিয়ে যায় মানব সভ্যতার অগ্রগতি।
বিজ্ঞানীরা এদিন কীভাবে লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে থাকা কোনও মহাজাগতিক বস্তুর তাপমাত্রা, কেমিক্যাল কম্পোজিশন বোঝা যায় তা বোঝান পড়ুয়াদের। একই সঙ্গে কীভাবে স্পেকট্রোস্কোপ সহজেই বাড়িতে বানানো যায় তারও একটা বিবরণ দেন বিজ্ঞানীরা। এতে প্রবল উৎসাহ দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। উৎসব চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, উৎসবে যোগ দিয়েছেন পঁাচ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী। ছিলেন আফগানিস্তান, ভুটান ও মায়ানমারের কয়েকজন মন্ত্রী। সায়েন্স সিটি ছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা বোস ইনস্টিটিউটেও চলছে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল ২০১৯। কিন্তু এখানে নতুন কী উঠে এলো? এই বিষয়ে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের কো–অর্ডিনেটর অপলা চক্রবর্তী বলেন, ‘অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিজ্ঞানীদের মুখোমুখি কথাবার্তা এবারই প্রথম। তাছাড়া এখানে ২৮টি বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিয়ে চর্চা হয়েছে এবং আরও হবে। এতে ছাত্রছাত্রীরা মারাত্মক আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখান থেকেই আগামী দিনের বিজ্ঞানী খুঁজে নেওয়া হবে।’ বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটিতে বক্তব্য রাখবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি।