এবার হেস্তনেস্ত করার পথে হাঁটল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শাহিনবাগের আন্দোলন নিয়ে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের দাবি, জনতার রাস্তা আটকে অনির্দিষ্টকাল ধরে আন্দোলন চলতে পারে না। যদি সবাই এভাবে আন্দোলন শুরু করে, তাহলে তার পরিণতি কী হবে? বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কাউলের এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আদালত সূত্রে খবর, নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ প্রায় দু’মাস হতে চলল। এই আন্দোলনের ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং মানুষ সমস্যায় পড়ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল জনস্বার্থ মামলায়। তার প্রেক্ষিতে সোমবার আদালত জানায়, প্রতিবাদ আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। জনসাধারণের এলাকায় অনির্দিষ্টকাল ধরে আন্দোলন চলতে পারে না। এই জন্য কোনও জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন।
সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে আন্দোলন হটিয়ে দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শাহিনবাগ আন্দোলনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়। তা নিয়ে দিল্লি সরকার এবং পুলিশকে নোটিস তলব করে। শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের মত, তাঁরা কখনও সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স, বাস, শবযানও ছেড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পথ তৈরি করে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।