একটা করে দিন কাটছে আর পাল্টে যাচ্ছে একেকরকম পরিস্থিতি। ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় একের পর কৌশল অবলম্বন করে চলেছে নির্ভয়া কাণ্ডের চার অপরাধী। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু হঠাৎই পরিস্থিতি আমূল বদলে গেল। এবার অক্ষয় ঠাকুরের স্ত্রী দাবি করলেন যে, তাঁর স্বামীর ফাঁসি আগে তাঁকে ডিভোর্স দিতে হবে। আগামী ২০ মার্চ তিহাড় জেলে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ফাঁসি হওয়ার কথা এই চারজনের। অর্থাৎ বিবাহবিচ্ছেদ করতে চান। যে ফুল ঝোড়ে যাবে তার সুতো ধরে তিনি বসে থাকতে চান না। তাহলে কী নতুন করে জীবন গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন অক্ষয় ঠাকুরের স্ত্রী?
এই প্রশ্ন ওঠার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জানা গিয়েছে, বিহারের ঔরঙ্গাবাদের একটি স্থানীয় আদালতে এই আবেদন করেছেন অক্ষয় ঠাকুরের স্ত্রী পুনিতা। নিজের আবেদনে তিনি বলেছেন, একজন বিধবার জীবন তিনি কাটাতে চান না। তাই ২০ মার্চ তাঁর স্বামীর ফাঁসির আগে তিনি ডিভোর্স চান। আগামী ১৯ মার্চ এই আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ফলে মহাভারতে কথিত আছে, মানুষ নিজেকে ছাড়া কাউকে ভালবাসে না। এটা প্রমাণিত হল এই ঘটনার মধ্য দিয়ে।
পুনিতার আইনজীবী মুকেশ কুমার সিং জানান, স্বামী ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার অধিকার আছে তার স্ত্রীর। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩(২)(II) ধারা বলছে যে কোনও মহিলার স্বামী যদি ধর্ষণ বা বিকৃতকামে দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তার স্ত্রী চাইলে বিবাহবিচ্ছেদ সম্ভব। উল্লেখ্য, এমনিতেই ধর্ষকের স্ত্রীর তকমা পেয়েছেন পুনিতা। এবার এই সম্পর্কের ইতি টানতে চাইছেন তিনি। তাহলে বলতে পারবেন, স্বামীর কৃতকর্মকে তিনি সমর্থন করেননি।
