এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত চরমে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পত্রবাণের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা পত্রবোমা হানলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। আর তাতেই লকডাউনের বাজারে কেন্দ্র–রাজ্য বাতাবরণ তপ্ত হয়ে উঠল।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযোগ করেন, লকডাউন চলাকালীন আটকে পড়া দু’লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরাও নিজেদের বাড়ি ফিরতে চায। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার আশানুরূপ সাহায্য করছে না। এই অভিযোগের পরই সরব হন তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ চান তাঁরা। না প্রমাণ দিতে পারলে ক্ষমা চাইবার দাবি জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, একটি বিশেষ ট্রেন রাজস্থানের অজমের থেকে ডানকুনিতে এবং কেরল থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বহরমপুরে পৌঁছেছে। আরও আটটি ট্রেনের তালিকা রেলমন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের অভিযোগকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কাকলিদেবী অভিযোগ করেন, ‘প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে কেন্দ্র, রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কোনও বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেনি। তাই দেশজুড়ে সমস্যায় পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে কেন্দ্র।’
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘একটা সংকটের পরিস্থিতিতে নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নীরবতা ভেঙেছেন। তিনি একের পর এক মিথ্যে কথা বলে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছেন। যাঁদের ভবিষ্যৎ ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল সরকার, এখন তাঁদের নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন। অমিত শাহ. হয় আপনি অভিযোগের প্রমাণ দিন, নচেত ক্ষমা চান।’ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘মিথ্যে বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে তিনি দুর্ভাগ্যজনক রাজনীতি করেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে বাংলার সরকার। দু’টি ট্রেন বাংলায় পৌঁছেছে। আরও আটটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’