লিড নিউজ

‘‌১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে’‌

বিজেপি’‌র একাংশ আগেই বলেছে শিবসেনা সমর্থন করুক বা না করুক সরকার গড়বে বিজেপি। এবার ফোঁস করল শিবসেনাও। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিলেন, তাদের সঙ্গে সরকার গঠন করার মতো বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। দলীয় নেতা সঞ্জয় রাউতের দাবি, তাঁদের সমর্থনে রয়েছেন ১৭০ জন বিধায়ক। এই সংখ্যাটা ১৭৫ হতেও পারে। বিজেপি যে খেলা খেলছে তার জন্য তাদের ছেড়ে কথা বলবে না মানুষ। মিথ্যে দিয়ে কোনও কাজ হয় না। তাহলে কী মহারাষ্ট্রে বিজেপি ছিটকে যাবে?‌ এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে।
রবিবার মুম্বইতে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাউত বলেন, ‘‌আমাদের সমর্থনে ১৭০ জনেরও বেশি বিধায়ক আছে। বিজেপি’‌র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির সরকারি তথ্য আমার কাছে আছে। তারা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম বুক করেছে। প্রথমে কেন তারা সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছে না? শিবতীর্থে শিবসেনার নেতাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। এটা আমাদের কাছে কোনও রিমোট কন্ট্রোলের খেলা নয়। এটা সত্যের বিষয়। যাঁরা খেলা খেলছেন, মানুষই তাঁদের উচিত শিক্ষা দেবেন।’‌
এদিকে সূত্রের খবর, দেওয়ালির দিন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়াররের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। এটাকে অনেকে দিওয়ালি ডিপ্লোমেসিও বলছেন। তারপরই শিবসেনাকে একটা সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছে এনসিপি। দলের নেতা নবার খান বলেন, মানুষের স্বার্থে বিকল্প পথ খুলতেই পারে উদ্ধব ঠাকরের দল। বিজেপিকে ছাড়া সরকার তৈরির চিন্তাভাবনা করলে এনসিপি’‌র পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা মিলতে পারে। এদিন রাউত অবশ্য বলেছেন, অমিত শাহের সঙ্গে আমাদের কী কথা হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দিয়েছেন। যদি কোনও প্রবীণ বিজেপি নেতার সঙ্গে কথা হত, তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না। অর্থাৎ তিনি শরদ পাওয়ারের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আগামী ৭ নভেম্বর শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভার মেয়াদ। তার মধ্যে সরকার না গড়তে পারলে রাষ্ট্রপতি শাসনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপি। সঞ্জয় রাউত বলেন, ওই ধরনের মন্তব্য করে জনাদেশকে অপমান করছে বিজেপি। দেশের রাষ্ট্রপতি একজন সাংবিধানিক পদাধিকারি। সেই পদের অপব্যবহার করা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে অপমানজনক। অনন্তকাল অপেক্ষা করে থাকবে না শিবসেনা।