নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশে গণভোটের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রানি রাসমণি রোডে প্রতিবাদ সভায় বলেন, ‘বিজেপি’র সাহস থাকলে, সিএএ–এনআরসি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরদারিতে গণভোট করে দেখাক। সারা ভারতবর্ষে একটা গণভোট হোক হয়ে যাক। আপনি করবেন না। রাষ্ট্রপুঞ্জ করবে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা থাক। তাদের নিয়ে কমিটি হোক। তৃণমূলের থাকার দরকার নেই। বিজেপি’র থাকার দরকার নেই। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খৃষ্ট্রানের দরকার নেই।’
১০ দিনব্যাপী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান থেকে কেরল, তামিলনাড়ু, অসমের সবাই নাগরিক। হঠাৎ করে তাহলে বিজেপি’র মাদুলি পরে প্রমাণ করতে হবে যে নাগরিক কিনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ থেকে লাইন উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘এ তো ওই কাদম্বরীর মতো, মরে প্রমাণ করতে হবে যে সে মরেনি।’
শুক্রবার পার্ক সার্কাসে রয়েছে তাঁর সভা। পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে গোটা দেশকে পথে নামার আহ্বানও করেছেন মমতা। তাঁর আহ্বান, অনেক সময় রাস্তায় নামতে হয়। রাজনৈতিক দলের নাম ভুলে যান। ভুলে যান সম্প্রদায়ের নাম। সবাই নামুন। বিহারে নামুন, দিল্লিতে নামুন, উত্তরপ্রদেশে নামুন, উত্তর–পূর্বে নামুন। বসে থাকবেন না। আজ সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার আগে ব্ল্যাকবোর্ডে নিজের হাতে সবাই নাগরিক লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটের পাশাপাশি আজকের সভা থেকেও বেঙ্গালুরুতে ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে পুলিশি আটকেরও নিন্দা করেন। তাঁর কথায়, ‘হিন্দুদের কোনও কিছু লাগবে না বলছে। কিন্তু আইন তো সবার ক্ষেত্রে সমান। আইন বিভেদ করে না। অসমে কেন ১৩ লক্ষ হিন্দু বাদ গেল? দাঙ্গা করে দেশকে ভাগ করবেন না।’