লিড নিউজ

‘‌নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে’‌

আজ বেলুড় মঠে বিবেকানন্দের জন্মদিন অনুষ্ঠানকেই প্রধানমন্ত্রী বেছে নিলেন ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ হিসাবে। বেলুড় মঠ থেকে বিরোধীদের কটাক্ষ করলেন সিএএ নিয়ে। বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যে জোর বিতর্ক তৈরি হল। বাংলায় দাঁড়িয়ে নাম না করে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ বিরোধী শিবিরকে। সংশোধিত আইনের পক্ষের সমর্থনে তিনি বলেন, ‘সিএএ নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ায় জন্য নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যা পড়ুয়া থেকে যুব সম্প্রদায় বুঝতে পারছেন তা অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বুঝতে পারছেন না। অনেকেই সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। যুব সমাজই ভারত নির্মাণের ভরসা।’
রাজনৈতিক স্বার্থেই ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, ছোট ছোট বিদ্যার্থীরা বুঝে গিয়েছে, আর রাজনৈতিক কারবারীরা বোঝার চেষ্টা করছেন না। আসলে, তারা না বোঝার চেষ্টা করছে। এই দেশের যুবরা জানতে চায় কেন সিএএ গুরুত্বপূর্ণ?‌ কিন্তু এটা নিয়ে অনেক গুজব ঘুরে বেড়াচ্ছে। যুব সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হচ্ছে। যুব সম্প্রদায়ের সামনে সঠিক তথ্যটা তুল ধরতে হবে। এই কাজে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের দুর্দশার কথা ভেবেই এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে। মোদী জানান, সরকার রাতারাতি নাগরিকত্ব আইন আনেনি। অসমের বিক্ষোভ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যের জনজাতির ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনযাপনে কোনও আঘাত আনতে দেবে না সরকার। সারা বিশ্ব জানে কীভাবে সংখ্যালঘুদের উপর গত ৭০ বছর ধরে অত্যাচার চালাচ্ছে পাকিস্তান। আর এই কাজের জন্য আজ তাদের জবাবদিহি করতে হবে।