লিড নিউজ

‘‌দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এনআরসি করবই’‌

সেপ্টেম্বর মাসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। তারপর যুব সংগঠনের সভা থেকে বলেছিলেন, বাংলায় এনআরসি হবে না। আর ১ অক্টোবর কলকাতায় এসে অমিত শাহ জানিয়ে গেলেন, বাংলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু হবেই। কোনওভাবেই তা রুখতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘মমতা দিদি নিজেই এক সময় অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেওয়ার কথা বলতেন। এখন ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে এনআরসি হতে দিতে চাইছেন না।’ আর জানান, ক্ষমতায় এসে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে ‌শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির স্বপ্নপূরণ করেছেন মোদীজি। সামনে দুর্গাপুজো। সেই উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০০–রও বেশি আসনে জিতেছে। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গবাসীরও অবদান রয়েছে। এই জন্য পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে ধন্যবাদ।
এনআরসি নিয়ে তৃণমূল–কংগ্রেস ভীতি সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ করেন শাহ। তিনি বলেন, ‘মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করতে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা রটানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, হিন্দুদেরও তাড়িয়ে দেওয়া হবে। এটার চেয়ে বড় মিথ্যা আর হতে পারে না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ শরণার্থীদের কেউ দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলে শরণার্থীরাও দেশের নাগরিক হিসাবে সমস্ত অধিকার এবং সুযোগ–সুবিধা পাবেন।’ তিনি আরও জানান, বাংলায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি (‌১৮ সাংসদ)‌। এই বাংলায় মোদীজির নেতৃত্বে সরকার হবে। কারণ আড়াই কোটি বাঙালি মোদীজিকে সমর্থন জানিয়েছেন।গত ৪ মাসে ৩০ জন বিজেপি কর্মী শহিদ হয়েছেন বাংলায়। তাই বাংলায় পরিবর্তনের জন্য প্রতিজ্ঞা করুন।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, দিদি বলছেন এনআরসি হবে না। কিন্তু আমি বলছি ভারতে একজনও অনুপ্রবেশকারীর জায়গা দেওয়া হবে না। কোনও শরনার্থীকে যেতে হবে না। কিন্তু কোনও অনুপ্রবেশকারীকে এই দেশে থাকতেও দেওয়া হবে না। আসলে অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। কিন্তু আমরা দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এনআরসি করবই।