রাজ্য

‘‌কাউকে দেশ ছাড়া করতে দেব না’‌

আগেও বলেছিলেন, আবারও বললেন। পশ্চিমবঙ্গে কোনওভাবেই এনআরসি’‌র অনুমতি দেবেন না তিনি। সোমবার খড়গপুরের জনসভায় ফের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কথা তিনি যখন বলছেন, তখন লোকসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল নাগরিক সংশোধনী বিল, ২০১৯। তবে তিনি দৃঢ়চিত্তে বলেন, আসুন জোট বাঁধি। একটা লোককেও দেশ ছাড়া করতে দেব না।
এই রাজ্যে এনআরসি করতে দেওয়া হবে না। এনআরসি আর ক্যাব যে একই মুদ্রার দুই পিঠ সেকথা ফের এদিন উল্লেখ করেন তিনি। ক্যাব বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল যে দেশবাসীকে আরও সঙ্কটে ফেলবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে বিজেপিকে ঠুকে মমতা বললেন, ‘বাংলা ‌ফেট্টিবাজদের জায়গা নয়। দেশে এখন শুধু বিভাজনের রাজনীতি চলছে।’‌
খড়্গপুর সদরের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পরেই ঠিক হয়েছিল এদিন সেখানে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘায় বাণিজ্য সম্মেলনে যাওয়ার পথেই রেলশহরে যান মমতা। সেখানে গিয়েই তিনি হুঙ্কার দেন, আমরা থাকতে কারও ক্ষমতা নেই, কাউকে ওরা দেশ ছাড়া করবে। দেশবাসীর জন্য প্রথমে খাবার, বাসস্থান এবং কর্মসংস্থানের দাবি কেন্দ্রের কাছে জানান মমতা। প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে আবশ্যিকভাবে ডিজিটাল রেশন কার্ড নিতে আবেদন করেন তিনি। যেসব মানুষ রেশন তোলেন না তাঁদেরকেও ডিজিটাল কার্ড নিতে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভোটার কার্ড আছে, আধার কার্ড আছে, রেশন কার্ড আছে। তাহলে আবার কিসের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে? ওরা মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করতে চাইছে। আমরা বলছি কোনও ডিভাইড অ্যান্ড রুল চলবে না। বাংলায় আমরা এসব করতে দেব না দাবি মমতার। পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য নিয়েও বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পেঁয়াজ বিক্রি যে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন তা উল্লেখ করে মমতা বলেন, রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করছে শুধু মানুষের কথা ভেবে।