লিড নিউজ

হেমন্তের হাওয়ায় একজোট বিরোধীরা

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান–বিবিধের মাঝে দেখো মিলনও মহান। আর সেই মিলনস্থল যেন হয়ে উঠল ঝাড়খণ্ড। যেখানে আজ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন। আর হেমন্তের পালে হাওয়া লাগিয়ে দেখা গেল বিরোধী জোট। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানেও দেখা গেল বিরোধীদের ভিড়। কে নেই সেখানে? রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে স্ট্যালিন। ইয়েচুরি থেকে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেমন্ত সোরেনকে ঘিরে ছিলেন বিরোধী নেতারা।
হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠান যেন বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ হয়ে উঠল। গেরুয়া শিবিরের দাপটকে রুখে দিয়েছে হেমন্ত সোরেন নেতৃত্বাধীন জেএমএম–কংগ্রেস এবং আরজেডি জোট। রাঁচির মোহরাবাদী মাঠে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূমিপুত্র হেমন্ত সোরেন। সব নেতা–মন্ত্রীরা এখানে একমত নন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাঁরা একমঞ্চে এসেছেন।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় নির্বাচনে বিরোধীদের প্রাপ্তি একটাই, চার রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর তার সঙ্গে যোগ হল আরও এক রাজ্যের নাম। ফলে এক বছরে পাঁচ রাজ্যে বিজেপি গদিচ্যুত হয়েছে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। গত বারের চেয়ে তাদের ১২টি আসন কমেছে। জামশেদপুর–পূর্বে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও। ২৫টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। সেখানে বিরোধী জোটে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী প্রবল হাওয়ার মধ্যে দেশের বিজেপি–বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ ছবি তুলে ধরতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বিজেপি–বিরোধী দলগুলির কাছে কার্যত সেই সুযোগ করে দিয়েছিল। যা এদিন দেখা গেল।