দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মনোহর লাল খট্টর। চণ্ডীগড়ে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সত্যদেও নারাইন আর্য। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি’র শরিক জননায়ক জনতা পার্টির প্রধান দুষ্মন্ত চৌতালা। বিজেপি’র কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা, শিরোমণি অকালি দলের প্রধান প্রকাশ সিং বাদল, তাঁর ছেলে সুখবীর বাদল–সহ বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই হাজির ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্র সিং হুডাও।
জেজেপি’র ১০ বিধায়ক এবং সাতজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে খট্টর সরকার গঠন করতে চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিলে, তিনি খট্টরকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ভোটে বিজেপি জিতেছে ৪০টি আসন। বর্তমানে ৯০ সদস্যের বিধানসভায় খট্টরের সমর্থনে রয়েছে ৫৭ জন বিধায়ক। বিজেপি–জেজেপি জোট কার্যকর হওয়ার পরই তিহার জেল থেকে দু’সপ্তাহের ছুটি পেয়ে গিয়েছেন দুষ্মন্তের বাবা অজয় চৌতালা। তিনিও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
বিজেপি’র সঙ্গে হাত মেলানোর প্রতিবাদে দুষ্মন্তের দল ছেড়েছেন তেজ বাহাদুর যাদব। বাহিনীতে খাবারের মান তুলে বিএসএফ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তেজ বাহাদুর। এক মাস আগে জেজেপি–তে যোগ দেন তিনি। দুষ্মন্তের দল জেজেপি–কে বিজেপি’র ‘বি’ টিম বলে উল্লেখ করে তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দুষ্মন্ত। এই ক্ষোভের মধ্যেই দুষ্মন্তের উপর জাঠদের প্রত্যাশাপূরণের চাপ। উপ–মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি জাঠদের প্রত্যাশা পূরণ না করতে পারলে দলে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।