লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে চলেছেন অমিত শাহ। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সেদেশের সম্পর্ক ভাল হলেও তা আর ধোপে টিকছে না বলেই খবর। কারণ ওই বিলে ধর্মীয় বৈষম্যকে মান্যতা দেওয়ায় এবার অমিত শাহ–সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি উঠল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই সুপারিশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন।
বিলটি নিয়ে সরব হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই কমিশন। এবার রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হওয়ার অপেক্ষা। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়া যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী মোদী সরকার। বিলটিকে বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশনের পক্ষ থেকে। শুধু তাই নয়, ধর্মীয় মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিলটি যদি রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায় তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক, যা ভুল পথে এগোচ্ছে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী ইতিহাস এবং সে দেশের সংবিধান, যা কি না ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকারের কথা বলে, এই বিল তার পরিপন্থী। নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যদিও লোকসভায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহের দাবি, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছে কংগ্রেস। আমরা তা করিনি। বেশিরভাগ মুসলিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। বাকিরা তৈরি করেছেন ভারত। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না হলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন হতো না।