আন্তর্জাতিক

সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে গোটা ফ্রান্স

পেনশন নিয়ে এবার টেনশন দেখা দিল ফ্রান্সে। পেনশন সংস্কার নিয়ে অনড় এমান্যুয়েল মাক্রোঁর সরকার। আর তা মানতে নারাজ হয়ে ধর্মঘটে অনড় সংগঠনগুলি। ফলে টানা দু’দিন কাজে যোগ দিলেন না অধিকাংশ সরকারি কর্মচারী। যার সবথেকে বড় প্রভাব পড়েছে পরিবহণ ব্যবস্থায়। বাস, ট্রেন এবং ঘরোয়া উড়ানও বাতিল হয়ে গিয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী না আসায় কোপ পড়েছে হাইস্পিড ট্রেনেও। যানবাহনের অভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে ওঠে যে, সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারের খরচ বাঁচাতে নানা সামাজিক প্রকল্পে ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই উদ্যোগ একেবারেই পছন্দ হয়নি নাগরিকদের একাংশের। সেই থেকেই সংঘাতের শুরু। এবারের বিরোধের বিষয় সরকারের নতুন পেনশন নীতি। বিষয়টি এখনও প্রস্তাবের স্তরে থাকলেও, আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে কাজের সময় আরও বেড়ে যাবে। এই নীতির প্রতিবাদেই প্রথমে ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহণ, হাসপাতাল, দমকলের কর্মীরা। পরে বাকিরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ফ্রান্সের বড় সংখ্যক মানুষ পেনশন ব্যবস্থায় সংস্কারের পক্ষে। কিন্তু এটাও দেখা গিয়েছে, ফ্রান্সের ৭৬ শতাংশ মানুষ পেনশন ব্যবস্থায় বদল চান, ৬৪ শতাংশ মানুষই মনে করেন এটা সরকার সফলভাবে করতে পারবে না। অর্থাৎ সরকার চালাকি করবে পেনশন নিয়ে বলে মনে করছেন অনেকে।