জেএনইউ’র আঁচ পড়ল এবার মোদী সরকারের অন্দরমহলেও। সরকারের অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনা প্যানেল থেকে ইস্তফা দিলেন জেএনইউ’র অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর। আজ মঙ্গলবারই ওই কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল। তার আগেই সরে দাঁড়ানোয় জেএনইউ কাণ্ডে কেন্দ্র তথা বিজেপি’র অস্বস্তি আরও বাড়ল মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তাঁর যুক্তি, জেএনইউ’র পরিস্থিতি নিয়ে মর্মাহত। যার কারণে নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি পরিসংখ্যান সিস্টেমে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা কার্যত কঠিন। পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনের নেতৃত্বে ওই কমিটির কাজ ছিল বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্য পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা। আর্থিক পরিসংখ্যানে কেন্দ্র তথা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে নানা সময়ে। সেই সব অভিযোগের মধ্যেই ওই কমিটি গঠন করায় বিতর্ক আরও বাড়ে। এই কমিটিতেই ছিলেন সিপি চন্দ্রশেখর।
উল্লেখ্য, রবিবার গত রবিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশধারী কিছু দুষ্কৃতী প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বিক্ষোভকারী কিছু পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে জেএনইউএসইউ প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষিকা সুচরিতা সেন–সহ একাধিক পড়ুয়া–শিক্ষাকর্মীর।
ইমেল পাঠিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মনে করি না যে, এই পরিবেশে কমিটি হারানো বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে।’ কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘সরকারি ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস আরও কমল। মনে হচ্ছে আমরা একটা আলাদা জগতে বাস করছি। যে সরকারের উপর আপনি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন, সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করা খুব কঠিন।’