বাংলাদেশ

শিশু হিংসার শিকার বাড়ছে বাংলাদেশে

বাংলাদেশে শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। মাত্র ৬ বছরের মধ্যে তা বেড়ে গিয়েছে ৮ শতাংশ। এই তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের করা সমীক্ষায়। ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সমীক্ষায়, শিশু হিংসতার শিকারের হার ছিল ৮২.৩ শাতাংশ। আর ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮.৭ শতাংশ। সহিংস আচরণের শিকার শিশুদের বয়স ১ থেকে ১৪ বছর।
সমীক্ষায় ২৪,৬০০ শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তা থেকেই এই সহিংসতার তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষক দল কোন শিশুর সঙ্গে কথা বলেননি। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতায় চালানো এই সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লালনপালনকারীদের মাধ্যমেই শিশুরা সহিংস আচরণের শিকার বেশি হচ্ছে। ফলে চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে উদ্বেগ বেড়েছে।
আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরেন পরিচালক মহম্মদ মাসুদ আলম। সার্ভে পরিচালক মাসুদ আলম জানান, ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে ১ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে ৬১,২৪২ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ৬ বছরে নারীদের ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৩৭.৬ শতাংশ। বর্তমানে দেশে নারীদের শিক্ষার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮.৭ শতাংশ। ৬ বছর আগে ছিল ৮২ শতাংশ।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ১৫ বছরের নিচে প্রতি ১০ জনের ৯ জন শিশুই তাদের অভিভাবক বা সেবা প্রদানকারীদের দ্বারা কোন না কোনভাবে সহিংসতার শিকার হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৮ জন নবজাতক মারা যায়। প্রতি হাজার দুগ্ধ পোষ্য শিশুর ৩৪ জন মারা যায়। ২০১৩ সালের সমীক্ষায় ছিল ৪৬ জন। এখন দেশের জন্ম হার ২.‌৩ শতাংশ। দেশে ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে ১৫.৪ শতাংশ মেয়ে বিবাহিত। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় মাত্র ১৮.৯ শতাংশ। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ৮৫.৯ শতাংশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের কর্মকর্তা অ্যালেইন বালানডি ডমসাম।