স্বাস্থ্য

শিশুর প্রথম দাঁত ওঠা

শুধু দুধখেয়েই শিশুর কেটে যায় প্রথম ছয় মাস। এরপর শুরু হয় অপেক্ষা। কবে ও ছোট্ট ছোট্ট দাঁতদিয়ে নিজেই তারিয়ে তারিয়ে খেতে পারবে? ভাত, সুজি, সবজি, খিচুড়ি- এসব খাওয়ানোর ফাঁকে ফাঁকে বড়রা পরখ করে দেখেনেন, দাঁত উঠছে তো? সাধারণত প্রথম দুটো দাঁত ওঠে নিচেরপাটিতেই। দাঁত উঠতে দেরি হলেই বাবা-মায়ের চিন্তার অন্ত থাকে না। কেন এখনো দাঁতউঠছে না? স্বাভাবিক বৃদ্ধির কোনো ব্যঘাত ঘটেনি তো?

সত্যিই শিশুরপ্রথম দাঁত ওঠা একটা বড় ব্যাপারই বটে। এ বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। 

১। সাধারণত শিশুদেরদাঁত ওঠে ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে। কারো এর আগেই ওঠে, আবার কারো একবছর সময়ও লেগে যায়। তাই দু-এক মাসের ব্যবধান নিয়ে চিন্তারকিছু নেই। শারীরিক বৃদ্ধির কোনো সম্পর্কও নেই এর সঙ্গে। দুধের দাঁত সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় বের হয়। দুই থেকে তিনবছরের মধ্যে শিশুর সব দাঁত উঠে যায়।

২। শিশুরমাড়িতে দাঁত ওঠার সময় ব্যথা হতে পারে। এসময়ে মুখ দিয়ে লালা ঝরে বেশি। খাবার খেতেঅনীহা দেখা দিতে পারে। তবে জ্বর বা ডায়রিয়া হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞেরপরামর্শ নেওয়া উচিত।

৩। দাঁত ওঠারআগে এবং পরে শিশুর সব কিছু কামড়ে দেখার প্রবণতা দেখা দেয়। এই সময় শিশুকে সাবধানেরাখতে হবে যাতে আজেবাজে জিনিস মুখে না দেয়।

৪। কয়েকটাদাঁত ওঠার পর ওর দাঁত পরিষ্কার করে দিন। আঙুলে পরিষ্কার গজ কাপড় পেঁচিয়ে দাঁত পরিষ্কারকরে দেবেন। অথবা আঙুলে পরা যায় এমন প্লাস্টিকের ফিঙ্গার ব্রাশ বাজারে পাওয়া যায়, নিজের আঙুলে পরে শিশুর দাঁত মাজিয়ে দিতে পারেন। দেড়বছর বয়স থেকেই বেবি টুথপেস্ট এবং ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজানো শেখান। দুই বছরের মধ্যেশিশু খুব ভালোভাবেই শিখে ফেলবে ব্রাশ করা।

৫। শিশুকেমিষ্টি, চকলেট কম খাওয়াবেন। রাতে ঘুমানোর আগে একদমই দেবেন না এসব। কারণ এগুলোদাঁতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।