ছয় বছর আগে হৃতিক রোশন ও সুজান খানের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। কিন্তু দুই সন্তানের জন্য তারা একে অপরের প্রতি বেশ বন্ধুসুলভ। চলমান ২১ দিনের লকডাউনে দুই ছেলে রেহান (১৩) ও হৃধান (১১) যেন মা-বাবা কারও কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, হৃতিক-সুজান সেই পথ বের করেছেন। তাই মুম্বাইয়ের জুহুতে হৃতিকের অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী।
বুধবার (২৫ মার্চ) ঘরের ভেতর তোলা সুজানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন হৃতিক। তিনি জানান, সুজান স্বেচ্ছায় অস্থায়ীভাবে তার ফ্ল্যাটে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে দু’জনেই সন্তানদের যত্ন নিতে পারেন।
হৃতিক লিখেছেন, ‘এটা প্রিয় সুজানের (আমার প্রাক্তন স্ত্রী) ছবি। সে অস্থায়ীভাবে তার বাড়ি ফেলে এসেছে যাতে দুই সন্তান আমাদের কারও কাছ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। আমাদের যৌথ অভিভাবকত্বের পথচলা বোঝার জন্য ও এতটা সহায়তাপ্রবণ হওয়ায় সুজানকে ধন্যবাদ। সন্তানদের জন্য আমরা যা সৃষ্টি করেছি সে গল্প ওরা বলবে।’
হৃতিকের আশা ও প্রার্থনা, ‘নিজের ও প্রিয়জনদের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবাই ভালোবাসা, সহানুভূতি, সাহস ও শক্তি প্রকাশের মাধ্যম খুঁজে পাবে।’
৪৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা পোস্টের শুরুতে বলেন, ‘লকডাউনের সময় সন্তানদের কাছ থেকে আলাদা থাকার কথা ভাবা একজন অভিভাবক হিসেবে আমার পক্ষে অসম্ভব। গভীর সংকটের কারণে হয়তো কয়েক মাস ধরে এই সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন থাকার সম্ভাবনা আছে।’
বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় যেসব অভিভাবককে সন্তানদের কাছ থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে, তাদের কথা ভেবে হৃতিক লিখেছেন, ‘বিশ্ব মানবতা এককাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, এই চিত্র সন্তানদের যৌথভাবে লালন-পালন করতে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার মতো। একে অন্যের অধিকার লঙ্ঘন না করে সন্তানকে কাছে রাখতে পারেন তারা।’
গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ২০১৫ সালে বোটসওয়ানায় দুই ছেলের সঙ্গে বেড়ানোর ছবি ও ভিডিও হৃতিক শেয়ার করেন। এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণকে তিনি ভিন্ন ধরনের আইসোলেশন হিসেবে উল্লেখ করেন। আরেক পোস্টে কোয়ারেন্টিনের সময় তোলা ছেলেদের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর হতে পারে না।’ করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে হৃতিক একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘জীবাণুটির ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সহায়তা করুন। এজন্য খুব সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব।’
You must be logged in to post a comment.