মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনে এবং হরিয়ানার ৯০টি আসন বিধানসভা নির্বাচনের ভোট সোমবার। আর তার আগে প্রচারে সেই কাশ্মীর, ৩৭০ এবং পাকিস্তান নিয়ে সওয়াল চলল। শেষ দিনে প্রচারে ঝড় তুললেন বিজেপির দুই শীর্ষ মুখ। হরিয়ানায় নরেন্দ্র মোদী এবং মহারাষ্ট্রে অমিত শাহ। দুই রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে বুথে বুথে রওনা হয়েছেন ভোট কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন ফিবারে কাঁপছে এই দুই রাজ্য।
মহারাষ্ট্রে দুই শক্তিশালী রাজনৈতিক দল বিজেপি–শিবসেনা। আর শক্ত লড়াই দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কংগ্রেস– এনসিপি জোটের। রয়েছে এমএনএস, বিএসপি, সিপিএম এবং সিপিআই। মোট ৩ হাজার ২৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে। তবে হরিয়ানায় মুখোমুখি লড়াই হবে কংগ্রেস–বিজেপি’র। যদিও এএপি, এসআইপি, জেজেপি, বিএসপি এবং এলজেপি রয়েছে। হরিয়ানায় মোট ১ হাজার ১৬৯ জন প্রার্থীর হবে ভাগ্য নির্ধারণ।
সোমবারই দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৬৪টি বিধানসভা আসনে হবে উপনির্বাচনও। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটগ্রহণ পর্ব অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে দুই রাজ্যজুড়ে কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় জেলায় নজরদারি চালাবে নির্বাচনে যুক্ত বিশেষ প্রতিনিধিদের দল। মহারাষ্ট্রের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ভোট শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার জন্য থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। প্রবীন নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আরও উন্নত ব্যবস্থা থাকছে প্রতিটি বুথে। দুই রাজ্যেই আছে সম্পূর্ণ মহিলা চালিত বুথ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় ১২২টি আসনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছিল বিজেপি। শিবসেনা পেয়েছিল ৬৩টি আসন। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানায় ৪৭টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গড়েছিল বিজেপি।