হিংসার আগুনে জ্বলছে দিল্লি। রাজধানী জুড়ে মৃত্যুমিছিল। মৌজপুর, ব্রহ্মপুরী, ভজনপুরা চক, গোকুলপুরী–সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। রাজধানীতে হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭। দিল্লির হিংসার ঘটনায় নীরব দর্শক কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার। এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদী সরকার ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দিল্লির ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় কংগ্রেস।
দিল্লি হিংসার রেশ ছড়াল তেলঙ্গানায়। অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিতে কুশপুতুল পোড়াতে গেলে সিপিআই কর্মীদের আটকাল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেই আরও ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকাল উত্তর–পূর্ব দিল্লি গিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তারপরও রাজধানীর পরিস্থিতির কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। জিটিবি হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব।জাফরাবাদ, মৌজপুরে এখন শ্মশানের শান্তি। ফাঁকা রাস্তা জুড়ে পাথর, ইট, ভাঙা কাচ, ভাঙা লোহার রড। ভেতরের গলি থেকে পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে কালো ধোঁয়া। মৌজপুরের গলির একটি দোকানে আগুন নেভেনি। দোকানের মালিক কোন ধর্মের, তা দেখেই আগুন লাগানো হয়েছে। এক পাড়ায় ধর্মের জোরে যাদের দোকান বেঁচে গিয়েছে, অন্য গলিতে সেই ধর্মের জেরেই দোকান পুড়েছে।
