দেশ

যুবতী গণধর্ষণে এবার অভিযুক্ত পুলিশকর্মীই!‌

দেশজুড়ে গণধর্ষণ হয়েই চলেছে। এবার রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করলেন। ওডিশার মন্দির শহর পুরীতে বাসের জন্য অপেক্ষারত এক যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। খোদ পুলিশ কোয়ার্টারের মধ্যে ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। দু’‌জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। তাদের মধ্যে একজন স্বয়ং পুলিশকর্মী। তাকে গ্রেপ্তার ও বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় জনরোষ তৈরি হয়েছে। কারণ যাদের নিরাপত্তা দেওয়াটাই কাজ, তারাই এই কুকর্ম করলে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়?‌ মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের রাজ্যে এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এফআইআর থেকে জানা যাচ্ছে, পুরীর নিমাপারা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন নির্যাতিতা। তখন এক ব্যক্তি তাঁকে লিফট দিতে চায়। ওই ব্যক্তিই পুলিশকর্মী বলে দাবি যুবতীর।
পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান, ‘‌ভুবনেশ্বর থেকে কাকাতপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলাম। আমি ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে গাড়িতে উঠেছিলাম। গাড়িতে উঠে দেখি আরও তিনজন ভেতরে রয়েছে। কাকাতপুরের দিকে না গিয়ে গাড়ি দেখলাম পুরী শহরের দিকে ছুটছে। ওই চারজন জোর করে আমাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দু’‌জন আমাকে ধর্ষণ করে। পুরীর ঝান্ডেশ্বরী ক্লাবের কাছে ওই বাড়িটি পুলিশ কোয়ার্টার।’‌
পুলিশ সূত্রে খবর, যৌন নিগ্রহের সময় এক অভিযুক্তের ওয়ালেট ধরে টান মারেন ওই যুবতী। পরে ওই ওয়ালেটে থাকা ফোটো আইকার্ড দেখে তিনি জানতে পারেন ধর্ষকদের একজন পুলিশকর্মী। সেই সূত্রেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের একজন পুলিশ কনস্টেবল। তাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে ওই কনস্টেবল।
পুরীর পুলিশ সুপার উমাশংকর দাস জানান, অপর অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই দুটি স্পেশ্যাল স্কোয়াড তৈরি হয়েছে। নির্যাতিতার সঙ্গে ধৃত পুলিশ কনস্টেবলের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা সমুদ্র পর্যটন রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।