ব্রেকিং নিউজ

মুখ্যমন্ত্রী না এলে শেষকৃত্য নয়

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ডে ক্ষোভের আগুনে জল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে জনরোষ বিশেষ ঠেকানো যায়নি। সকালেই তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি মর্মাহত।’ পাশাপাশি আশ্বাস দেন, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যও উন্নাওয়ের গণধর্ষণ মামলাটিকে এবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। অপরাধীরা চরমতম শাস্তি পাবে। এদিকে তাঁর দিদির শেষকৃত্যের আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের বাড়ি আসার দাবি জানালেন উন্নাও–এর মৃতা যুবতীর বোন। যুবতীকে তাঁর নিজের গ্রামেই কবর দিতে চায় তাঁর পরিবার এবং গ্রামবাসী। রবিবার বিকেলের মধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা। তার আগেই আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। না হলে তাঁরা দিদিকে কবর দেবেন না।
অন্যদিকে ধর্ষিতার বাবারও দাবি, তেলঙ্গানার মতো তাঁর মেয়ের ধর্ষকদের গুলি করে মারুক পুলিশ। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে হারিয়েছি। যারা ওকে মারল, তাদেরও গুলি করে মারা হোক বা ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’ রবিবার তরুণীর বোন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করুক এবং তাঁর সিদ্ধান্ত জানান। মৃতার বোনের আরও দাবি, দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। তাঁর নিজের জন্য সরকারি চাকরির দাবিও জানিয়েছেন যুবতী।
উন্নাওয়ের নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চেয়ে রাজধানীতে মোমবাতি মিছিল শুরু হলে তাতে জলকামান চালায় পুলিশ। মিছিলকারীরা ইন্ডিয়া গেটের দিকে এগোনোর সময় অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের কাছে ব্যারিকেড টপকাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের দাবি, মিছিলকারীরা তাদের দিকে মশাল ছুঁড়তে থাকায় জলকামাতে চালাতে বাধ্য হয় প্রশাসন। জনরোষের পরিস্থিতি এড়াতে নিজের মন্ত্রিসভার দুই সদস্যকে উন্নাও পাঠিয়ে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেও মৃতা যুবতীর বাড়ি এখনও পা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।