লিড নিউজ

মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, উপ–মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার

টানটান চিত্রনাট্য। আর তা চূড়ান্ত নাটকীয়তায় পৌঁছতেই তোলপাড় হয়ে গেল জাতীয় রাজনীতি। যার সাক্ষ্য থাকল বাণিজ্যনগরী। হ্যাঁ, মহারাষ্ট্রের কথাই এখানে বলা হচ্ছে। কারণ শুক্রবার রাত পর্যন্ত খবর ছিল শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি জোট বেঁধে সরকার গড়ছে মহারাষ্ট্রে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে শপথ নেবেন। এমনটাই স্থির হয়েছিল। শনিবার সকালেই চূড়ান্ত নাটকে হিসেবটা এলোমেলো হয়ে গেল। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বিজেপি’‌র দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
দেখা গেল, সাতসকালে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি শপথবাক্য পাঠ করান। ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন এনসিপি’‌র অজিত পাওয়ার। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। শপথগ্রহণের পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, বিজেপি মহারাষ্ট্রের মানুষদের স্থায়ী সরকার দিতে চায়। শিবসেনা জনাদেশ মেনে নেয়নি। সরকার গঠনে সাহায্য করার জন্য এনসিপি–কে অনেক ধন্যবাদ।
মহারাষ্টের বুকে এমন নাটকীয় পট–পরিবর্তন ভাবতেই পারছেন না রাজনৈতিক কারবারিরা। কারণ এভাবে ব্যাকডোর পলিটিক্স হঠাৎ করে তৈরি হয়নি। এটা অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পিত। তাই হয়তো শেষলগ্ন পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল বিজেপি। যখন সব ঠিক হয়ে গেল তখনই মাস্টারস্ট্রোক দেওয়া হল। যাতে কার্যত বেসামাল শিবসৈনিক শিবির। শুক্রবার রাতে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপি’‌র বৈঠক কার্যত চূড়ান্ত হয়ে যায় সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যাপারে সব দল সম্মতি দিয়েছে। শিবসেনা সুপ্রিমো বলেছিলেনও, আলোচনা ইতিবাচক এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। তাহলে এই নাটকীয় পট পরিবর্তন কেন?‌
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ–মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারকে ট্যুইট করে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাহলে কী এখানেও পাওয়ার–প্লে হল নেপথ্যে?‌ এই প্রশ্ন উঠছে কারণ সরকার গড়া নিয়ে টালবাহানার মধ্যেই মোদী–শরদ সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেখানেই কী এই নীল নকশা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে?‌ তা হয়ে থাকলে রাজনৈতিকভাবে শরদ পাওয়ার দু’‌দিকই বজায় রাখল। অথচ দেখাবেন তিনি কিছুই জানতেন না। বরং তাঁকেই পেছন থেকে ছোড়া মারা হয়েছে।
ঘণ্টা না কাটতেই রাজনীতিতে এমন পট পরিবর্তন নজিরবিহীন। এনসিপি’‌র হাত ধরেই বিজেপি রাতারাতি সরকার গড়ার প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে রাখে। তবে এনসিপি’‌র পুরোপুরি সমর্থন নাকি কিছু বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গড়তে চলেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।