শুরুটা ভালই হয়েছিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ৮১ বিধানসভা আসনে এই রাজ্যে ১৩টি কেন্দ্রে চলছে নির্বাচন। ছাতরা, গুমলা, বিষ্ণুপুর, লোহারডাঙা, মানিকা, লাতেহার, পানকি, ডালটনগঞ্জ, বিষরামপুর, ছত্তরপুর, হুসেনাবাদ, গাড়োয়াল এবং ভগবন্তপুরে কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোট। কিন্ত তাল কাটল প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন গুমলা জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় হামলা চালাল মাওবাদীরা। বিস্ফোরণের জেরে ওই এলাকার একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম দফার ভোটে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৭,৮৩,০৫৫। মোট ৪৮৯২টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৭৯০টি বুথ অতি স্পর্শকাতর এবং ১২০২টি বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত। ১৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৮৯ জন প্রার্থী। ১৩ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১২ আসনে এবং ১ আসনে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস লড়াই করছে ৬ আসনে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৪ আসনে এবং ৩ আসনে আরজেডি। গুমলার ডেপুটি কমিশনার শশী রঞ্জন জানান, শনিবার সকালে গুমলার বিষ্ণুপুর এলাকায় আচমকা হামলা চালায় মাওবাদীরা। বিস্ফোরণের জেরে ওই এলাকার একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। তবে কেউ নিহত বা আহত হননি। ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়াতে কোনও বাধা পড়েনি। পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে হামলাকারী মাওবাদীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তৃতীয় রাজ্যে ভোট। আগে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ভোট হয়। কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার কাছে যেভাবে ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপিকে তাই এই রাজ্যে ভোট বিজেপির কাছে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনয় কুমার চৌবে জানান, প্রথম দফার নির্বাচনে ১৫ জন মহিলা সহ মোট ১৮৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। ভোটদান করবেন ৩৭ লক্ষের বেশি মানুষ। ৮১টি আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অনেক এলাকা মাওবাদী অধ্যূষিত। তাই এখানে মোট পাঁচ দফায় নির্বাচন হবে। এই প্রথম ঝাড়খণ্ডে কোনও জোটসঙ্গী ছাড়াই লড়ছে বিজেপি। তাঁদের দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন পার্টি এবারে আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৫টি আসন পায়।