ভারতের দেওয়া উপহারে নতুন করে সেজে উঠছে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান কার্যালয়। ৫০ কিলোওয়াট শক্তি সঞ্চার করার ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল বসানো হচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান কার্যালয়ের ছাদে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে টুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় পুনর্ব্যবহার যোগ্য শক্তির পক্ষে সওয়াল করে গত সেপ্টেম্বর মাসেই রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন জানান, ভারতের আর্থিক সহায়তায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তরে সৌরপ্যানেল বসানো হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জকে ভারত সবুজ ছাদ উপহার দিয়েছে। এই ছাদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গাছ লাগানো ও সবুজায়নের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করাই লক্ষ্য রাষ্ট্রপুঞ্জের। এই সবুজ ছাদে ছোট ছোট গাছ লাগানো থাকবে। রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ২০২২ সালের মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎসের মাধ্যমে সৌর প্যানেল ১৭৫ গিগাওয়াট শক্তি উৎপাদন করার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। সৌর–ব্যাটারি তৈরির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে ভারতকে। সৌরশক্তিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হলে সৌর–ব্যাটারির চাহিদা বাড়বে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে বাঁচতে ২০১৬ সালে প্যারিসে ১৯৬টি দেশ মিলিত হয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছিল। সেখানে বলা হয়, পৃথিবীর তাপমাত্রা যেন বর্তমানের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি না বাড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ভারত। রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া এই উপহার তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর আগে ১ আগস্ট তানজানিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের দপ্তরে সৌরপ্যানেল বসানো হয়। সেখানে ৬৯৬টি সৌর প্যানেল ব্যবহার করে প্রচলিত শক্তিতে তৈরি বিদ্যুৎ ৭০ শতাংশ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এপ্রিলে জর্জিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের দপ্তরে বসেছে ৩৬টি প্যানেল। যার সাহায্যে প্রচলিত শক্তিতে তৈরি বিদ্যুতের ২০ শতাংশের ব্যবহার কমানো সম্ভব হয়েছে।