লিড নিউজ

বিজেপি প্রার্থীকে লাথি–চড়–ঘুসি মেরে জঙ্গলে ফেলা হল!‌

ঘিয়াঘাটে আক্রান্ত করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপি প্রার্থীকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে লাথি মেরে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ছবিও এখন ভাইরাল। করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নথিডাঙার ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর বুথে তাঁর উপস্থিতি উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিজেপি প্রার্থী ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে ভোট কেন্দ্র থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
এদিন দুপুরে ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বুথে এসে দেখেন এক প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দুটি ফোন রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন তিনি। বুথ লাগোয়া একটি ঘরে ১১ জন মিলে রান্নাবান্না করছে দেখে প্রতিবাদ করাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে আক্রমণ করে। রাস্তায় ফেলে কিল–চড়–ঘুষিও মারার অভিযোগ ওঠে। বুথের বাইরে জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে ঝোঁপে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বিজেপি প্রার্থীকে নির্যাতনের দায়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মুকুল রায় জানান, কোনও নির্বাচনে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখেননি। নদিয়ার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব করিয়েছেন। হারবে জেনেই তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
বিজেপি’‌র অভিযোগ, পিপুলখোলার ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে যেতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। আর গাড়ি থেকে নামতেই চলে কিল, চড়, ঘুষি। একজন তো এক লাথি মারে জয়প্রকাশ মজুমদারকে লক্ষ্য করে। রাস্তার ধারে ঝোঁপের মধ্যে পড়ে যান জয়প্রকাশ মজুমদার। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করে। কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুরের পাশাপাশি আজ নদিয়ার করিমপুরেও বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। বাকি দুই কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ পর্ব চললেও করিমপুরে সকাল থেকেই অশান্তির খবর আসে।