দীপাবলির পরদিনই কালো ধোঁয়ায় ঢাকল রাজধানী। বাজি ফাটানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা সত্ত্বেও আবার দিল্লির বাতাসের মান নেমে গেল খুব খারাপ ক্যাটাগরিতে। সোমবার সকাল ৭টায় দিল্লির বিভিন্ন অংশের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স: আনন্দ বিহার–৩৫৮–খুব খারাপ। আইটিও–৩৪৭–খুব খারাপ। জাহাঙ্গিরপুরী–৩৬০–খুব খারাপ। দ্বারকা–৩৫০–খুব খারাপ। নর্থ ক্যাম্পাস–৩২৮–খুব খারাপ। লোধি রোড–৩৪৮–খুব খারাপ। এই সূচক প্রমাণ করছে দেদার বাজি ফেটেছে দিল্লিতে। দু’ঘণ্টা বাজি পোড়ানোর নির্দেশিকা মানা হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মালভিয়া নগর, লাজপত নগর, কৈলাশ হিলস, বুরারি, জঙ্গপুরা, শাহদারা, লক্ষ্মী নগর, ময়ূর বিহার, সরিতা বিহার, হরি নগর, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি–সহ বহু এলাকার বাসিন্দারা। এমনকী নয়ডা, গুরগ্রাম এবং গাজিয়াবাদ থেকেও অভিযোগ এসেছে।
এদিকে রাত বাড়তে না বাড়তেই কলকাতা শহরে কান পাতা দায় হয়ে উঠেছিল। আর তারই সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ল বায়ু দূষণের মাত্রা। যদিও গত বছরের তুলনায় তা অনেকটাই কম হল এবার। রবিবার মধ্যরাতে শহরের রাস্তা প্রায় ধোঁয়াতেই ঢেকে যায়। যদিও সোমবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিস্থিতির উন্নতিও লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বায়ুদূষণের সূচক বলছে, শনিবার বিকেল থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত কলকাতায় বায়ুদূষণের সূচক ছিল ২০০ থেকে ৩০০।
তবে নিশ্চিন্তেই শ্বাস নিয়েছেন মুম্বইয়ের মানুষ। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, বাতাসের মান ভাল অবস্থায় ছিল। কলকাতাতেও দীপাবলির পর দূষণের মাত্রা ছিল লাগামের মধ্যেই। রাত ১১টা নাগাদ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বলছে, বালিগঞ্জে ১৮২, বিধান নগরে ১১১, যাদবপুরে ১৪৩, রবীন্দ্র ভারতীতে ১৭৩ ছিল। তবে রবিবার কালীপুজো এবং দীপাবলির রাতে গোড়ার দিকে বাজির দৌরাত্ম্য কিছুটা কম থাকলেও সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ রইল না।