দ্বিতীয় মোদী সরকারের দ্বিতীয় বাজেট। আর তা পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই বাজেট কি কোনও দিশা দেখাবে? কারণ বাজেট পেশের আগে পতন দেখা গেল শেয়ার বাজারে। সেনসেক্স সূচকের পতন হয় ৩০০ পয়েন্ট। নিফটিও ১৫০ পয়েন্ট পড়েছে। বাজেট পেশের আগেই এই ধাক্কা সামলানো এবং সংস্কার করা কঠিন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
ভারতের অর্থনীতিতে জিডিপি ৫–এর নীচে। বেকারত্ব নজিরবিহীন। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যত শ্লথ হয়ে পড়েছে। এই আবহে শনিবারের বারবেলার বাজেট কতটা দিশা দেখাবে এই নিয়ে সংশয়ে রয়েছে লগ্নিকারীরা। তার মধ্যেই শেয়ার বাজার খুলতেই ব্যাপক ধস নামল। ব্যাঙ্ক, আইটি, মোটর–সহ একাধিক সেক্টরের শেয়ারের পতন হয়েছে।
নতুন লগ্নিই অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার কর্পোরেট কর ছাঁটের কথা ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমন। আয়কর কমানোরও ইঙ্গিত দেন তিনি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন বাজার চাঙ্গা করতে এই দাওয়াই যথেষ্ট নয়। চাহিদা বাড়াতে আমজনতার হাতে বাড়াতে হবে টাকার জোগান।
সূত্রের খবর, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করের হারে হাত দিচ্ছে না সরকার। ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করের হার ২০ শতাংশ থেকে কমে, ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এখন ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। বাজেটে ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২০ শতাংশ করের কথা ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।