জেলা রাজ্য

বাংলার রেল প্রকল্পে ‘‌না’‌ মোদীর

বাজেটের পর উৎসাহ দেখা গিয়েছে বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা–তে। কিন্তু বাংলা একপ্রকার হতাশ। একটা নতুন প্রকল্পও জোটেনি। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের নতুন বাজেটে তার জন্য একটি পয়সাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। ফলে অর্থাভাবে আগামী দিনে এগোতে পারবে না তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর, জাঙ্গিপাড়া–ফুরফুরা শরিফ, নন্দীগ্রাম–দেশপ্রাণ, দিঘা–জলেশ্বর এবং বাঁকুড়া–মুকুটমণিপুরের মতো প্রকল্প।
রেলবাজেটের পর কম্পিউটারের সামনে হামলে পড়েছিলেন পূর্ব, দক্ষিণ–পূর্ব ও কলকাতা মেট্রোর কর্মীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় ছবিটা। বাংলার জন্য নতুন কোনও প্রকল্পই নেই। নতুন অর্থবর্ষে এই রাজ্য একটিও নতুন ট্রেন পাবে না। এই রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘বাংলার প্রতি ওদের যে কী চরম হিংসা বাজেটে আরও একবার স্পষ্ট হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় যে প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিলেন, দেখুন তার একটা প্রকল্পও বাঁচিয়ে রাখা হয়নি। ওরা ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।’
পাল্টা বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রেলবাজেট করেছিলেন, সেটা ভারতের রেলমন্ত্রীর বাজেট ছিল না। বাংলার রেলবাজেট ছিল। ফলে পরে আমি ও দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী হয়েও সেই বাজেট রক্ষা করতে পারিনি। এখন বিজেপি যে বাজেট করছে, সেটা সারা ভারতের জন্য। যে প্রকল্প উপযুক্ত, সেখানেই টাকা দিচ্ছে।’ বিজেপি’‌র প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূলের কোনও জমি নীতি নেই। জমির জট না কাটিয়ে ওঁরা শুধু ‘ক্যা ক্যা ছি ছি’ করে চলেছেন। আর দোষ দেন কেন্দ্রকে।’
দক্ষিণ–পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, সর্বমোট ৪১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে খড়্গপুর–আদিত্যপুর, নারায়ণগড়–ভদ্রক এবং খড়্গপুর–নারায়ণগড়ের মধ্যে তিনটি থার্ড লাইন তৈরি এবং পুরুলিয়া ও কোটশিলার মধ্যে একটি ডাবলিংয়ের কাজ এগনোর জন্য। তবে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য বাজেটে ৯০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর।