বাম–সহ বিরোধীদের ডাকা ভারত বনধকে তীব্র ধিক্কার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কোনও হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। গায়ের জোরে বনধ সমর্থন করা হবে না। যে সব ইস্যুতে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে সমর্থন থাকলেও বামেদের এই ধর্মঘট ‘সস্তায় প্রচার পাওয়া’র রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন তিনি। একইসঙ্গে মমতার হুঁশিয়ারি, কেউ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
আজ সারা দেশজুড়ে বনধ ডাকা হয়েছিল। আর তাতে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক তাণ্ডব করে বাম সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবাদের অনেক পথ আছে। গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। গায়ের জোরে বনধ করতে দেওয়া হয়নি। আর হবেও না। একটা বাসে বোম মেরে সস্তায় পাবলিসিটি। এভাবে রাজনীতির মৃত্যু হয়।’ বামেদের ডাকা বনধে এদিন সকাল থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। জায়গায় জায়গায় রাস্তা অবরোধ, রেল অবরোধের জেরে ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলন চলছেই। সেই আন্দোলনের কার্যত সামনের সারিতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে আবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সব প্রসঙ্গ টেনেও বামেদের নিশানা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, সিএএ, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন করেছি। সরকারে থেকেও আমরা প্রতিবাদ করছি। জেএনইউ হামলার পরেই আমি নিন্দা করেছি। কিন্তু ওরা কী করেছে? দিল্লিতে একটাও আন্দোলন করেছে? একটাও মিছিল করেছে?