বাংলাদেশ লিড নিউজ

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ গ্রেপ্তার, পলাতক ছিল কলকাতায়

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ৪৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন আত্মস্বীকৃত এই খুনি।

গতকাল মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পলাতক খুনি আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি জানানো হয়। গতকালই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর পৌনে ৪টার দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে সন্দেহভাজনভাবে রিকশায় করে যাওয়ার সময় থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মাজেদকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁর পরিচয় দিয়ে স্বীকার করেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন তিনি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে ছিলেন বলেও জানান।

আদালতে হাজির করার পর মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ। তখন মাজেদ বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি গত ২০ থেকে ২২ বছর কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন।

দেশে ফেরার বিষয়ে আদালতে আইনজীবীর জিজ্ঞাসাবাদে মাজেদ কিছু না বললেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ভারত থেকে অনেকেই দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় মাজেদও সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে থাকতে পারেন।

সূত্র মতে, এর আগে লিবিয়া ও পাকিস্তানে আত্মগোপনে ছিলেন মাজেদ। ১৯৯৫ সালের দিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। সেখান থেকে পাকিস্তানে, এরপর লিবিয়ায় যান। ২০১৬ সালে আবার ভারতে ফেরেন তিনি।

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার না করে বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশ মিশনে চাকরি দেন। ক্যাপ্টেন মাজেদের পদায়ন হয়েছিল সেনেগালে। ১৯৮০ সালে জিয়া তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে সেনাবাহিনী থেকে অবসর দিয়ে উপসচিব হিসেবে জনপ্রশাসনে নিয়োগ দেন। এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলেও তিনি সরকারি চাকরিতে বহাল ছিলেন।

অ/আ