এমনিতেই লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি জটে জর্জরিত শতাব্দীতে পরা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এর উপর নতুন সমস্যার সম্মুখীন হল তাঁরা। ফুটবলারদের বকেয়া না মেটানোয় সোমবার নতুন মরসুমের জন্য ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (ট্রান্সফার ব্যান) জারি করল ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা (FIFA)। তবে শুধু ইস্টবেঙ্গল নয়, আইএসএল-এর আরেক ক্লাব কেরল ব্লাস্টার্সও ফিফার শাস্তির মুখে পড়েছে।
গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গল প্রথমবার আইএসএল খেলেছে। যদিও খুব একটা ভালো জায়গায় শেষ করেনি মরশুম। কারণ শেষ মুহূর্তে লগ্নিকারী সংস্থা পেয়ে আইএসএল-এ নাম লিখিয়েছিল লালহলুদ। কিন্তু মরশুম শেষ হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের একাধিক ফুটবলার দাবি করে তাঁরা চুক্তিমত টাকা পাননি। ফলে বকেয়া টাকার জন্য লালহলুদের ফুটবলাররা ফেডারেশনের দ্বারস্থ হন। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার এবং ফুটবলার খাইমে সান্তোস কোলাদো-সহ অনেকেই ফিফার দ্বারস্থ হন। এরপরই ফিফার তরফে ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁরা যেন সকলের বকেয়া মিটিয়ে দেয়। নচেৎ বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে ক্লাবকে।
এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না করলে তাঁরা কোনও দায় নেবে না। যদিও এর আগে তাঁরা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগের কোনও দায় তাঁরা নেবে না। এবার ফিফার চিঠি পেয়েও লগ্নিকারী সংস্থা নিরব থাকে। জানা গিয়েছে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। লগ্নিকারী সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা যদি চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতেন, তা হলেই তাঁরা সমস্যা সমাধান করতে উদ্যোগী হতেন। কিন্তু ক্লাব কর্তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে স্বাক্ষরিত হওয়া প্রাথমিক চুক্তিকে মান্যতা দিতে রাজি হননি লালহলুদ কর্তারা। উল্টে বারবার অভিযোগ করছেন, প্রাথমিক ও চূড়ান্ত চুক্তির মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, ফিফা নির্বাসন না তুললে খেলবে কী করে ইস্টবেঙ্গল? এই বিষয়ে লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা জানিয়ে দিলেন, চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এই বিষয় নিয়ে ভাবতেই চান না। ফলে সামনের মরশুমে অথৈ জলে লালহলুদ ক্লাব।
You must be logged in to post a comment.