ফের রক্তাক্ত জেলা। শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদীকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এখানে একসঙ্গে চারজন ছিল। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অশোকনগর থানা এলাকায় ঘটনার সূত্রপাত কালীপুজোর রাতে। যা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার। কারণ আহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অশোকনগরের রবীন্দ্রপল্লী এলাকার বাসিন্দা দেবাশিস দাসের বাড়ির সামনে শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল সঞ্জীব দে এবং তার তিন সহযোগী। তারা মত্ত অবস্থায় ছিল। তাঁর বাড়িতে বাচ্চা এবং অসুস্থ মানুষ রয়েছে। বিকট শব্দে ফাটছিল বাজি। বাড়ির ভেতরে বাজি ছুঁড়ে মারায় আগুনও ধরে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান দেবাশিস দাস। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে দেবাশিসবাবুকে মারধর শুরু করে সঞ্জীব এবং তার দলবল। প্রতিবেশীরা তখনকার মতো সব মিটিয়ে দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরে দেবাশিসকে একা পেয়ে ফের মারধর শুরু করে সঞ্জীব। আরও বাজি ফাটাতে থাকে সে। তখন বাইরে বেরিয়ে আসেন দেবাশিসের আত্মীয় সুশান্ত দাস। তিনি সঞ্জীবদের বাজি ফাটাতে বারণ করেন। তখন সঞ্জীব ও তার ভাই বিনয় এবং তাদের আরও দুই সঙ্গী ছুরি দিয়ে সুশান্তর পেটে এবং পিঠে আঘাত করে। সুশান্তর শরীরে মোট ৫টি জায়গায় আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই রাতেই তঁাকে প্রথমে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তঁার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব দে–কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।