সবাইকে চমকে দিয়ে কিছু একটা করে দেখাবে বলে বেরিয়েছিল ওরা। সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ কাণ্ডে এবিভিপি’র প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে যোধপুর পার্ক এলাকায়। সোমবার যাদবপুর অভিযানের ডাক দিয়েছিল আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। তবে যোধপুর পার্ক এবং সেলিমপুর মোড়ের সামনে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মিছিল যাতে কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে ঢুকতে না পারে তার জন্যও রীতিমত প্রস্তুতি নিয়েছেন সেদিনের বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। পাল্টা এভিবিপি’ও মরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছতে। ক্যাম্পাসে তাদের সংগঠনের রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা। কিন্তু হল না। একদিকে এবিভিপি’র মিছিল বদ্ধপরিকর গার্ডওয়াল ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে যাবে। অন্যদিকে মিছিল আটকাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে বিশেষ কিছু করতে না পেরে সরে পড়ে তারা।
এগিয়ে যেতে না পেরে শুরু হয় ইঁট বৃষ্টি। পুলিশের দিকে ফেলে দেওয়া হয় লোহার খাঁচা। তবে র্যাফ, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস–সহ সমস্ত কিছু তৈরি রাখলেও নিজেদের সংযত রাখে পুলিশ। অন্য কোনও পন্থা না নিয়ে কার্যত স্লোগানে মিছিল শেষ করতে আবেদন জানান পুলিশ। অন্যদিকে কোনও অবস্থাতেই রণে ভঙ্গ দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। গার্ডওয়ালের সামনেই বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই সরে পড়ে তারা।
এই পরিস্থিতির জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে দক্ষিণ কলকাতা। ব্যাহত হয় যান চলাচল। এবিভিপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করবেন। ওই মিছিল করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই এগোবেন। সেই চেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি এবিভিপি’র সদস্যরা।
