বাংলাদেশ

পিছু হটল কমিশন, ঢাকায় স্থগিত পুরভোট

ঢাকা পুর নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তনে বাধ্য হল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছিল ৩০ জানুয়ারি। ওইদিন সরস্বতী পুজো। হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সরস্বতী পুজোর দিন ভোট না করতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে। পরে সব রাজনৈতিক দলও অনুরোধ করে। তাতেও কাজ হয়নি। তারপর অনশন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ১৪ জন শিক্ষার্থী অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবার ভোটের দিনবদল করল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।
ভোটের দিন পরিবর্তনের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে শাহবাগে। যে শাহবাগ রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল, সেখানে হাত রেখে মানববন্ধনও করা হয়। ব্যস্ত সময়ে রাস্তা অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে অনশনে বসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে অপূর্ব চক্রবর্তী ও অর্ক সাহা নামে দু’‌জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানান, ‘১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি–র পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। আমরা শিক্ষা মন্ত্রককে অনুরোধ করেছিলাম পরীক্ষা পিছনোর জন্য। তাঁরা অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রয়ারি শুরু হবে। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। সমস্ত মহল থেকেই যে দাবি করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছিল বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের ওপর। তারা ভোটের দিন বদলে রাজি বলে জানায়। অন্য রাজনৈতিক দলগুলিও জানায়, ভোটের তারিখ পরিবর্তন হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। পাশাপাশি আগের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন।