রাজ্য

পরীক্ষায় বসতে না পেরে আত্মঘাতী ছাত্র!‌

এতদিন দেখা যেত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আত্মঘাতী হতো পরীক্ষার্থীরা। এবার দেখা গেল পরীক্ষায় বসতে না পেরে আত্মহত্যা করল নবম শ্রেণির এক ছাত্র। মৃতের নাম চন্দন জোয়ারদার। বয়স ১৫ বছর। বিষ খায় চন্দন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চন্দনকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। রবিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় চন্দনের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও কোনওরকমে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। মায়ের শরীরও বিশেষ ভাল নেই। তাই নিয়েই লোকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। এই পরিস্থিতিতে নিজের পড়াশোনাটুকু চালাতে সে নিজেও কিছু আয়ের চেষ্টা করত। কিন্তু ফর্ম ফিলাপের সামান্য ৪০০ টাকাও সে জোগাড় করতে পারল না। ফলে দেওয়া হল না পরীক্ষাই। সেই হতাশায় আত্মহত্যা করল নবম শ্রেণির ছাত্র চন্দন জোয়ারদার। বয়স মাত্র ১৫ বছর।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা চন্দন। টাকার অভাবে পরীক্ষার সেই ফর্ম ফিলআপ করতে পারেনি চন্দন। সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারেনি পরীক্ষায় বসার জন্য প্রয়োজনীয় চারটে প্রজেক্ট রিপোর্টও। সবমিলিয়ে চন্দনকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়নি হাবড়ার খাড়ো কেএমআর ইনস্টিটিউশন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান চন্দন।
এই ঘটনায় বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিল সে। অবশেষে শনিবার রাতে নিজের বাড়িতেই বিষ খায় সে। হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষায় তাকে বসতে দেওয়া হবে না জেনেই মুষড়ে পড়ে চন্দন। বাড়ি ফিরে আসে। আর তারপরই এই ঘটনা।