জেলা ব্রেকিং নিউজ

পরপর গন্ডারের মৃত্যু জলদাপাড়ায়

গত ২৪ ঘণ্টায় পরপর গন্ডারের মৃত্যু। আর এই ঘটনায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে অ্যানথ্রাক্সের আশঙ্কায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হল। বুধবার দু’টি গন্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল জলদাপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে আরও একটি মুমূর্ষু গন্ডারকে উদ্ধার করা হয় সেখানে। বুধবার সকালে উদ্ধার হওয়া দু’টি গন্ডারের একটির সঙ্গে ছিল আনুমানিক আড়াই মাসের একটি শাবকও। এদিনের ধুঁকতে থাকা গন্ডারটির সঙ্গেও রয়েছে একরত্তি শাবক। এই জঙ্গলে সত্যিই অ্যানথ্রাক্স ছড়াল কি না, তা জানতে ওই তিনটি গন্ডারের রক্তের নমুনা জরুরি ভিত্তিতে বেলগাছিয়ার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘ময়নাতদন্ত করা হলেই মৃত্যুর আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।’ রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, ‘আমরা অ্যানথ্রাক্সের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমরা উদ্বেগে রয়েছি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’ অ্যানথ্রাক্সের সন্দেহ সত্য প্রমাণিত হলে চরম দুঃসময় ঘনিয়ে আসতে পারে প্রায় ২৫০ একশৃঙ্গ গন্ডারের আবাসভূমি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে।
জানা গিয়েছে, জলদাপাড়া পূর্ব রেঞ্জের শিশামারা বিটের জঙ্গল ঘেঁষা লোকালয়ে শাবক সমেত চলে এসেছিল একটি গন্ডার। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা যায় সেটি। রাতেই পূর্ব রেঞ্জের সিধাবাড়ি এলাকায় পাওয়া যায় আরও একটি মৃত মাদি গন্ডার। সকাল হতেই আরও এক গন্ডারের মৃত্যুর খবর আসে জলদাপাড়া পূর্ব রেঞ্জের অধীনে মালঙ্গি বিটের জঙ্গলে। ফলে এই মুহূর্তে জলদাপাড়ায় শ্মশানের নীরবতা। উত্তরবঙ্গ বন বিভাগের মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘আমাদের হাতে কোনও স্থায়ী বন্যপ্রাণী চিকিৎসক না থাকায় কাজটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমরা হাল ছাড়ছি না। আমরা এখন বিশেষ ভাবে চিন্তিত জলদাপাড়ার ৭৮টি কুনকি হাতিকে নিয়ে।’