দিল্লির হিংসায় ফের উদ্ধার হল আরও তিনটি দেহ। রবিবার গোকুলপুরীর নর্দমা থেকে একটি ও ভাগীরথী খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি দেহ। ফলে দিল্লির হিংসায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৪৬। আহত হয়েছেন ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ। রবিবার সকালে প্রথম দেহটি উদ্ধার করা হয়। পরেরটি উদ্ধার হয় বিকেলে। তবে উদ্ধার হওয়া দেহগুলির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এর আগে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অফিসার অংকিত শর্মার দেহও উদ্ধার হয়েছিল নর্দমা থেকে।
রাজধানীর হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৬৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৮৮৫ জনকে। এই হিংসার ফলে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলে মনে করছে বণিকসভা। হিংসার আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে ৯২টি বাড়ি, ৫৭টি দোকান, ৫০০ গাড়ি, ৬টি গুদামঘর, দুটি স্কুল, চারটি কারখানা ও চারটি ধর্মীয় স্থান। দিল্লির শাহিনবাগেও আবার জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রবিবার সেখানে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফের জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
উল্লেখ্য, হিন্দু সেনা ১ মার্চের মধ্যে শাহিনবাগ খালি করে দেওয়ার ডাক দিয়েছিল। তবে পুলিশ এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করায়, তারা তাদের বিক্ষোভ কর্মসুচি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছে। তা সত্ত্বেও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় দিল্লি পুলিশ। আগাম সতর্কতা নিতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।