কেউ কখনও ডিজিটাল আদালত দেখেছেন? দেখা তো দূর, স্বপ্নেও ভাবেননি। আর তা করে দেখালো চীন। চীনে চালু হল নতুন ডিজিটাল আদালত। সেখানে রায়দান করবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। হাংহউ ইন্টারনেট কোর্ট চালু করা হয়েছে। যা এখন জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু কেন এমন আদালতের প্রয়োজন হল? জানা গিয়েছে, এই আদালতের প্রথম অনলাইন মামলায় এক লেখক ও একটি ওয়েব কোম্পানির মধ্যে লেখকস্বত্ব নিয়ে বিরোধের বাঁধে। হাংহউ ও বেইজিং থেকে দুটি আইনি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে আদালতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। শুনানি চলে ২০ মিনিট। সাইবার আদালতে বাদী এবং বিবাদী ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হন।
তারপর কী ঘটল? আদালতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং জিয়াংকিয়াও সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ইন্টারনেট কোর্ট ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে কার্যক্রম চালাতে পারে। এতে সময় অনেক বঁাচানো সম্ভব।’ বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা এভাবেও করা যায়। ২০১৬ সালে যখন কয়েকটি বিচারকাজ অনলাইনে সম্প্রচার করা হয়েছিল, তখন মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী লিয়াং শিয়াজু বিবিসিকে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না কাজটি সঠিক। কারণ, মামলাগুলির সঙ্গে অনেকেই জড়িত। তাঁরা জনসম্মুখে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করুক, এটা চান না।’