রাজ্য

ট্রেনে শ্লীলতাহানি টলি–অভিনেত্রীর

রাতে ট্রেনে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে উঠল। নামখানা থেকে শুটিং সেরে ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন এক অভিনেত্রী। রাতের ফাঁকা ট্রেনে তাঁকে মদ–সিগারেট খাওয়ানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেলরক্ষী বাহিনী আরপিএফ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আরপিএফের এক কনস্টেবল মত্ত অবস্থায় এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে।
জানা গিয়েছে, ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা অভিনেত্রী ওই তরুণী বৃহস্পতিবার রাতে সোনারপুর জিআরপি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বকখালিতে তাঁর শুটিংয়ের কাজ ছিল। মহিলা কামরা ফাঁকা ছিল। আর সেই ফাঁকা কামরাতেই অভিযুক্ত ওই আরপিএফ তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। ফাঁকা কামরায় ওই যুবতীকে জড়িয়ে ধরেন অভিযুক্ত কনস্টেবল।
অভিযোগকারিনীর বয়ান অনুযায়ী, ‘আমাকে ওই পুলিশকর্মীরা বলেন, রাতের ট্রেন। নিরাপত্তার কারণেই মহিলা কামরাতে যাওয়া ভাল। মহিলা কামরায় ওই দুই পুলিশকর্মীও এসে ওঠেন। তাঁদের একজন আমার সামনে এসে বসেন। আর একজন কামরার অন্য প্রান্তে চলে যান। ওই পুলিশকর্মী আমার সামনে বসেই মদ্যপান শুরু করেন। সঙ্গে সিগারেট। অস্বস্তি হলেও আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। চলন্ত ট্রেনে আমাকে জড়িয়ে ধরারও চেষ্টা করে বেশ কয়েকবার। প্রতিবাদ করে আমি পরের স্টেশনেই নেমে যেতে যাই। কিন্তু নামার চেষ্টা করতেই বাধা দেওয়া হয়। অন্য পুলিশকর্মীটি কোনও যাত্রীকে কামরায় উঠতেও দিচ্ছিল না।’
এরপর রাত্রি প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ সোনারপুরে নামেন নির্যাতিতা। সেখানে নেমে সোনারপুর জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে আরপিএফ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে সোনারপুর জিআরপি। পরে ওই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।